রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান কখনও গাছে আবার কখনও মানুষের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই হনুমানটি দেখার জন্য কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার বিকালে বাঘাবাজারে হনুমানটি মানুষের কাছাকাছি ঘুরতে দেখা গেছে। বাঘাবাজারে তেঁতুলতলায় পাদুকা ব্যবসায়ী মিলন আলীসহ কয়েকজন জানান, বাঘামাজার এলাকায় মুখপোড়া একটি হনুমানটি দেখা যায়।
তার পর থেকে হনুমানটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এ হনুমানটি কীভাবে এবং কোথায় থেকে এই এলাকায় এসেছে, তা কেউ বলতে পারছেন না। হনুমানটি দেখার পর থেকে কৌতূহলী লোকজনের উৎপাত থেকে বাঁচতে কখনও গাছের উঁচু ডালে আবার কখনও মানুষের মাঝে আশ্রয় নিচ্ছে। হনুমানটিকে খাওয়ানোর জন্য কেউ কেউ কলা, বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছে। বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, বাঘাবাজার এলাকায় গত কয়েক দিন থেকে একটি মুখপোড়া হনুমান দেখা যাচ্ছে।
এ হনুমানকে দেখতে আসা মানুষ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছে। হনুমানটি এ খাবার খাচ্ছে। তবে তাকে দেখার জন্য মানুষ ভিড় করছে। এ হনুমানটির বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রাণী অসুস্থ হয়ে গেলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে উপজেলা কোনো প্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নেই।
ফলে এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, মুখপোড়া হনুমান বৃক্ষচারী শান্তি প্রিয় প্রাণী। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, খেলাধুলা ও বিশ্রামসহ সব কিছু এরা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে। তবে বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে কথা হয়েছে— তারা এ প্রাণীর কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। এ প্রাণী নিজে নিজে আসে, আবার নিজে নিজে চলে যায়। তবে এ প্রাণীকে কেউ যেন অত্যাচার না করে, সে বিষয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করা হয়েছে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।